বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১১

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়্

দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৬১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর মাত্র ২০ ওভার ব্যাটিং করেই ৮ উইকেটের স্মরণীয় এক জয় তুলে এনেছে বাংলাদেশ। ৩০ রানের মধ্যেই ইমরুল কায়েস ও শাহরিয়ার নাফিস আউট হয়ে গেলেও এরপর ধীরস্থীর ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। ৩৬ রান করে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১০ রান এসেছে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।
৬২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে স্বল্প সময়ে জয় তুলে নেওয়ার পরিকল্পনায় দ্রুত রান সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু পঞ্চম ওভারের শেষ বলে কেমার রোচকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে পোলার্ডের হাতে ধরা পড়েন কায়েস। দুই ওভার পরে রানের খাতা না খুলেই স্যামুয়েলসের শিকারে পরিণত হন শাহরিয়ার নাফিস। তবে এরপর আর কোন উইকেটের পতন হতে দেননি তামিম ও মুশফিক। ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করে জয় তুলে নেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজকে চাপে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনাটা বেশ ভালোমতোই বাস্তবায়ন করেছেন বোলাররা। দুই পেসের নাজমুল হোসেন ও শফিউল ইসলামের ভালো বোলিংয়ের সুবাদে প্রথম ১১ ওভারের মধ্যেই ওপেনার ডানজা হাট ও বিপদজনক ব্যাটসম্যন মারলন স্যামুয়েলসের উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এরপর ১২তম ওভারে বল হাতে প্রথম ওভারেই পাওয়েল ও পোলার্ডকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন ডানহাতি অফস্পিনার নাসির হোসেইন। পরের ওভারে ড্যারেন ব্রাভোর উইকেটটাও তুলে নিয়ে বাংলাদেশী সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়েছেন শাফিউল ইসলাম। সেই আনন্দ আরও বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। উইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন সামিকে এলবিডব্লিউর ফাদে ফেলে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।