শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

মুক্তিযুদ্ধে নকলা

ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের জুলুম, নির্যাতন আর শোষণের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের মানুষ বরাবরই প্রতিবাদ মুখর ছিল। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও ঝাপিয়ে পড়েছিল দেশ প্রেমিক দামাল ছেলেরা। তখন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে সাদির মামুদ তালুকদার, আতর আলী মাস্টার, মুজাম্মেল হক ( হক মাস্টার), ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপি ডাঃ নাদেরুজ্জামান, ১৯৭৩ এ নির্বাচিত এমপি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও সিরাজুল হক বাজু মিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। 

গনপদ্দী ইউনিয়নের চিথলিয়াতে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি নাম ফলক


মুক্তিযো্দ্ধাদের বেশ কয়েকটি কোম্পানী পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। কোম্পানী গুলো হচ্ছে ফরহাদ কোম্পানী, হক চৌধুরী কোম্পানী ,মনসুর মেম্বার কোপ্নানী এবং এবং গিয়াস মাস্টার কোম্পানী। এই সব কোম্পানীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা নকলা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর ও জামালপুরে অনেকগুলো যুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাক বাহিনীকে পরাস্ত করে বীরত্বের পরিচয় দেয়। তাদের এ অবদান আজ ইতিহাসের গৌরব গাঁথা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গোলাম রব্বানী, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, মোঃ রফিজ উদ্দিন রেফাজ ও মাহমুদুল হক দুলাল রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাক বাহিনী সবচেয়ে বেশী ধ্বংসযজ্ঞ চালায় চন্দ্রকোনা বাজারে। আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক ( বাজু মিয়া), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান (মনি মিয়া), পরবর্তীতে রিলিফ চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা, ব্যবসায়ী ছাদেক আলী মেম্বার এবং সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের বাসা ও গুদাম পুড়িয়ে সর্বশান্ত করে দেয় হানাদার পাক বাহিনী। সর্বশান্ত হয়েও থেমে থাকেন’নি মনিরুজ্জামান (মনি মিয়া) জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন। নিজ বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছেন শহর থেকে ছুটে আসা মানুষ কে। কিন্তু সময় তাদের অবদানকে মনে রাখেনি। ১৯৭১ এর ১ মে হানাদার পাক বাহিনীর প্রথম নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন নারায়ন খোলার জাডু সরকার, গোলাম সরকার, হাসেম সরকার এবং জালালপুরের ধীরেন পোদ্দার ্ওরফে জ্ঞান পোদ্দার।
তথ্য সূত্র : তালাত মাহমুদ, কবি, সাংবাদিক  ও কলামিস্ট