রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৩
নকলা বার্তা ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম
উত্তরাঞ্চলের শেরপুর জেলার একটি উপজেলা নকলা। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির এযুগে পৃথিবী দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নকলা উপজেলাকেও বিকশিত ও আলোকিত করে ডিজিটাল নকলা হিসেবে গড়ে তুলতে নকলা উপজেলার একটি ওয়েবসাইট খোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি, যাতে সরকার কর্তৃক গৃহীত e-governance এর পদক্ষেপসমূহের সাথে ত্বরিৎগতিতে সম্পর্কিত হওয়া যায়। সে লক্ষ্যে আমি ২০১১ সালের মার্চ মাসের ৩ তারিখে নকলা বার্তা নামে একটি ওয়েবসাইট এর নির্মাণ কাজ শুরু করি।
আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় দীর্ঘ পথ পরিক্রমা শেষে অবশেষে ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করা হলো। এ ওয়েবসাইটটি নকলা উপজেলার সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার। উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ক তথ্যের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহের বিস্তারিত বিবরণ এ ওয়েবসাইটটি ধারণ করছে। গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম হিসেবে এ ওয়েবসাইটটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ ওয়েবসাইট তৈরীতে যারা আমাকে বিভিন্ন সময় তথ্য দিয়ে সর্বাত্মক ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। যাদের কথা না বললেই নয়, নকলা উপজেলার সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান, শাহ্ মো: বোরহান উদ্দীন, সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনাব মো: হানিফ উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান, জনাব মো: হাফিজুর রহমান লিটন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা উম্মে কুলছুম রেণূ সহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ। যাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাকে এ ওয়েবসাইটটি তৈরীতে সাহস যুগিয়েছে তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
নকলা বার্তা ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ আমার একার প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয়েছে। আমি নিজেই তথ্য সংগ্রহ করেছি। নিজেই সম্পাদনা করেছি। যার ফলে ওয়েবসাইটটিতে তথ্যবিভ্রাট এবং নানা ধরণের ত্রুটির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সে কারণে এই ওয়েবসাইটটিকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট করা, তথ্যভ্রান্তি দূর করেসময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ করার দায়িত্ব আমার সাথে সাথে সকল উপজেলাবাসীর।
আপনাদের সহযোগিতা, পরামর্শ ও গঠন-মূলক সমালোচনাই হবে আমাদের সামনে এগিয়ে চলার প্রেরনা।
ধন্যবাদ
আবদুর রহমান রানা
মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৩
উৎসবমুখর পরিবেশে নকলা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো জেলা স্কাউট সমাবেশ-২০১১
মহা তাবু জলসা ও সমাপনী অনুষ্ঠান
মহা তাবু জলসা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ৫ দিন ব্যাপী জেলা স্কাউট সমাবেশ-২০১১। মহা তাবু জলসা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। শেরপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মো: নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মো: আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জনাব মো: আনিসুজ্জামান, নকলা উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব শাহ্ মো: বোরহান উদ্দিন, নকলা উপজেলার সম্মানিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার । জেলা প্রশাসক, শেরপুর গত ২৭-১২-২০১১ খ্রি: তারিখে নকলার ঐতিহ্যবাহী নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জেলা স্বাউট সমাবেশ-২০১১ এর শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন শেরপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য |
প্রধান অতিথির হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক |
তাবু জলসা ও সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্য নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের সকল কমকর্তা সহ বিভিন্ন গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের ঢল নামে অনুষ্ঠানস্থলে। অনুষ্ঠানটি দুটি পর্বে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে ছিল আলোচন অনুষ্ঠান ও অতিথিদের সম্মাননা প্রদান । দ্বিতীয় পর্বে ছিল ফায়ার ক্যাম্প ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত স্কাউটদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ সকল অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সহ উপস্থিত সকলকে ধৈর্য সহকারে উপভোগ করেন। উক্ত সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৪ শতাধিক স্কাউট অংশ নেয়।
জেলা স্কাউট সমাবেশ-২০১১ এর ছবি সমূহ
প্রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন জেলা প্রশাসক মহোদয় |
প্রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান |
প্রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান |
রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার |
প্রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন নকলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান |
প্রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন নকলা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান |
রধান অতিথির কাছ খেকে সম্মাননা গ্রহণ করছেন উরফা ইউপি চেয়ারম্যান |
শেরপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যকে স্কার্ফ পরানো হচ্ছে |
শেরপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বক্তব্য রাখছেন |
বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক |
মাননীয় মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক ফায়ার ক্যাম্প প্রজ্জ্বলন |
মাননীয় মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক ফায়ার ক্যাম্প প্রজ্জ্বলন |
স্কাউটদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান |
আগত স্কাউটদের একাংশ |
আগত স্কাউটদের একাংশ |
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দৃশ্য |
সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২
উপজেলার পটভূমি
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ । এর কোথাও পাহাড় কোথাও বিল, কোথাও বা সুনীল সাগর কোথাও ঝিল। অপরুপ সুন্দর নদী মেখলা এই দেশ টির উত্তর পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষে গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশে শেরপুর জেলার অন্তর্গত নকলা উপজেলার অবস্থান।
ভৌগলিক দিক থেকে উপজেলাটি 24.53 উত্তর অক্ষাংশ থেকে 25,.02 উত্তর অক্ষাংশ এবং 90.07 পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে 90.15 পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এর বাস্তব অবস্তান। উপজেলাটির উত্তরে রয়েছে নালিতাবাড়ী, উত্তর পূর্ব দিকে হালুয়াঘাট, পূর্বে ফুলপুর, দক্ষিণ পূর্ব দিকে কোতয়ালী ময়মনসিংহ, দক্ষিণে জামালপুর এবং পশ্চিমে শেরপুর সদর তথা শেরপুর জেলা।
ক্ষুদ এই উপজেলা টি আয়তন ১৭৪.৮০ বর্গ কিলোমিটার। মোট ইউনিয়ন নয়টি, পৌরসভা একটি এবং গোচ্ছ গ্রাম সহ মোট গ্রাম ১১৭ টি।
ভৌগলিক দিক থেকে উপজেলাটি 24.53 উত্তর অক্ষাংশ থেকে 25,.02 উত্তর অক্ষাংশ এবং 90.07 পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে 90.15 পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এর বাস্তব অবস্তান। উপজেলাটির উত্তরে রয়েছে নালিতাবাড়ী, উত্তর পূর্ব দিকে হালুয়াঘাট, পূর্বে ফুলপুর, দক্ষিণ পূর্ব দিকে কোতয়ালী ময়মনসিংহ, দক্ষিণে জামালপুর এবং পশ্চিমে শেরপুর সদর তথা শেরপুর জেলা।
ক্ষুদ এই উপজেলা টি আয়তন ১৭৪.৮০ বর্গ কিলোমিটার। মোট ইউনিয়ন নয়টি, পৌরসভা একটি এবং গোচ্ছ গ্রাম সহ মোট গ্রাম ১১৭ টি।
শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২
মুক্তিযুদ্ধে নকলা
ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের জুলুম, নির্যাতন আর শোষণের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের মানুষ বরাবরই প্রতিবাদ মুখর ছিল। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও ঝাপিয়ে পড়েছিল দেশ প্রেমিক দামাল ছেলেরা। তখন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে সাদির মামুদ তালুকদার, আতর আলী মাস্টার, মুজাম্মেল হক ( হক মাস্টার), ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপি ডাঃ নাদেরুজ্জামান, ১৯৭৩ এ নির্বাচিত এমপি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও সিরাজুল হক বাজু মিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
মুক্তিযো্দ্ধাদের বেশ কয়েকটি কোম্পানী পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। কোম্পানী গুলো হচ্ছে ফরহাদ কোম্পানী, হক চৌধুরী কোম্পানী ,মনসুর মেম্বার কোপ্নানী এবং এবং গিয়াস মাস্টার কোম্পানী। এই সব কোম্পানীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা নকলা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর ও জামালপুরে অনেকগুলো যুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাক বাহিনীকে পরাস্ত করে বীরত্বের পরিচয় দেয়। তাদের এ অবদান আজ ইতিহাসের গৌরব গাঁথা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গোলাম রব্বানী, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, মোঃ রফিজ উদ্দিন রেফাজ ও মাহমুদুল হক দুলাল রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।
গনপদ্দী ইউনিয়নের চিথলিয়াতে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি নাম ফলক |
মুক্তিযো্দ্ধাদের বেশ কয়েকটি কোম্পানী পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। কোম্পানী গুলো হচ্ছে ফরহাদ কোম্পানী, হক চৌধুরী কোম্পানী ,মনসুর মেম্বার কোপ্নানী এবং এবং গিয়াস মাস্টার কোম্পানী। এই সব কোম্পানীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা নকলা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর ও জামালপুরে অনেকগুলো যুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাক বাহিনীকে পরাস্ত করে বীরত্বের পরিচয় দেয়। তাদের এ অবদান আজ ইতিহাসের গৌরব গাঁথা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে গোলাম রব্বানী, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, মোঃ রফিজ উদ্দিন রেফাজ ও মাহমুদুল হক দুলাল রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাক বাহিনী সবচেয়ে বেশী ধ্বংসযজ্ঞ চালায় চন্দ্রকোনা বাজারে। আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক ( বাজু মিয়া), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান (মনি মিয়া), পরবর্তীতে রিলিফ চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা, ব্যবসায়ী ছাদেক আলী মেম্বার এবং সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের বাসা ও গুদাম পুড়িয়ে সর্বশান্ত করে দেয় হানাদার পাক বাহিনী। সর্বশান্ত হয়েও থেমে থাকেন’নি মনিরুজ্জামান (মনি মিয়া) জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন। নিজ বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছেন শহর থেকে ছুটে আসা মানুষ কে। কিন্তু সময় তাদের অবদানকে মনে রাখেনি। ১৯৭১ এর ১ মে হানাদার পাক বাহিনীর প্রথম নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন নারায়ন খোলার জাডু সরকার, গোলাম সরকার, হাসেম সরকার এবং জালালপুরের ধীরেন পোদ্দার ্ওরফে জ্ঞান পোদ্দার।
তথ্য সূত্র : তালাত মাহমুদ, কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্টনকলা উপজেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
দর্শনীয় স্থানঃ-
রুনীগাঁয়ে মোঘল আমলের গায়েবী মসজিদ, নারায়নখোলার ঐতিহাসিক বেড় শিমুলগাছ, চন্দ্রকোনায় মৃগীনদীর উপর নির্মিত ২৫০ মিটার র্দীঘ সেতু এবং চন্দ্রকোনার অদূরে অবস্থিত রাণীগঞ্জ স্লুইচগে ট। বরষকালে এখানে দৃষ্টি নন্দন মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব দর্শনীয় স্থানের উৎকর্ষ সাধন করলে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।নকলা উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের বিবরণ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য ও স্থাপত্য নিদরশন সম্পর্কিত তথ্যাদিঃ-
গাজীর দরগাহঃ ঘল স্থাপত্যের এক অনুপম স্থাপত্য নিদর্শন রুনী বিবিরি মাজার। বর্তমানে সেটির নাম দরগাহ বাজার । এ মাজারটি নিয়ে নানা কিংবদন্তী রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের লৌকিক বিশ্বাস এটি একটি মসজিদ যা জীন পরী মিলে কোন এক রাতের মধ্যে নির্মাণ করতে চেয়েছিল, হঠাৎ করে তা পাশের বাড়ীরি এক মহিলা দেখে ফেলে। জীন পরীরা ঐ মহিলাকে বাড়ীল অন্যান্য লোককে তা জানাতে নিষেধ করে। জানালে সে মহিলা মারে যাবে বল তারা তাকে ভয় ভীতি দেখায়। ঐ মহিলা তা শুনে বাড়ীর সকলকে বলে দেয়, তৎক্ষণাত বাড়ীর লোকজন বাতি নিয়ে দেখতে আসলে আসলে জীন পরীরা অর্ধেক কাজ সমাপ্ত করে চলেযায়। এবং ঐ মহিলাটিও সেই রাতেই মারা যায়। বর্তমানে মাজারটি অর্ধনির্মিত জরাজীর্ণ অবস্থায় এক বিশাল বটবৃক্ষ বেষ্টিত অবস্থায় রয়েছে। যাতে আছে সরু পাটার মাত ইট, যা খুবই কারুকার্যপূর্ণ। ফটক দ্বারে বড় বড় পাথর। এর যে শিল্পিত রুপ তা চোখে না দেখলে অনুমান করা দূরুহ। এ অঞ্চলের লৌকিক বিশ্বাস এমনটি হলেও বাস্তবে তার নির্মাণ ইতিহাস অন্য রকম। মোঘল পরিবারের এক রমণী যার নাম রুনী বেগম।
তার একটি পুত্র সন্তান ছিল। তৎকালীন সময়ে জলদস্যুদের ছিল খুব উপদ্রব। জলদস্যুরা রুণী বেগমের একমাত্র পুত্রকে মুক্তিপণের আশায় নৌপথে আরাকানে (বর্তমান চট্টগ্রাম) বন্দী করে নিয়ে যায়। রুণী বেগম পাগল পাড়া হয়ে পুত্রকে মুক্তির আশায় চার বেয়ারার পালকি নিয়ে মোঘল রাজার দরবার থেকে সোজা পথে আরাকানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ যাত্রায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমান দরগার বাজার স্থানে যে মাজারটি অবস্থিত রুণী বেগম সে স্থানে েএসে কয়েকদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমান বাজার স্থানে তার সমাধি। তৎকালীন মোঘল সম্রাটের নিকট এ সংবাদ পৌঁছালে তিনি সেখান থেকে কাঠ মিস্ত্রি সহ পাইক পেয়াদা প্রেরণ করে ফরমান জারী করেন যে, রুনী বেগমের মাজার এলাকার নাম রুণী বেগমের নাম অনুসারে রুণী গাঁও হবে। তখন থেকে সে গ্রামের নাম রুনী গাঁও। আরো জনশ্রুতি আছে যে, শের শাহের আমলে দিল্লী হতে আরকান পর্যন্ত যাতায়াতের পথ ধরে তৎকালীন একমাত্র বাহন একটি ঘোড়ার এক দিনের অতিক্রম দুরত্বে একটি করে সরাই খানা নির্মাণ করা হয়েছিল । এ মাজার স্থলে ছিল তারই একটি সরাই খানা। এখানে তৎকালীন মোঘল পরিবারে রুণী বেগম নামে এক মহিলা অবস্থান করেন এবং অসুস্থ হয়ে সেখানেই মারা যান। সে থেকেই এ গ্রামের নাম রুণী গাঁও এবং রুণী বেগমের মাজারই বর্তমান গাজীর দরগাহ মাজার। মোঘল দের পতনের পর এটি সংরক্ষণের বিষয়ে কেউ পদক্ষেপ নেয় নি। প্রতি বছর ১০ মহরম মাজার প্রাঙ্গনে মেলা, জারী গান, বাউল সঙ্গীত ও উরশ হয়ে থাকে। এলাকাবাসী প্রতি বছরে এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে।
তার একটি পুত্র সন্তান ছিল। তৎকালীন সময়ে জলদস্যুদের ছিল খুব উপদ্রব। জলদস্যুরা রুণী বেগমের একমাত্র পুত্রকে মুক্তিপণের আশায় নৌপথে আরাকানে (বর্তমান চট্টগ্রাম) বন্দী করে নিয়ে যায়। রুণী বেগম পাগল পাড়া হয়ে পুত্রকে মুক্তির আশায় চার বেয়ারার পালকি নিয়ে মোঘল রাজার দরবার থেকে সোজা পথে আরাকানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ যাত্রায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমান দরগার বাজার স্থানে যে মাজারটি অবস্থিত রুণী বেগম সে স্থানে েএসে কয়েকদিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমান বাজার স্থানে তার সমাধি। তৎকালীন মোঘল সম্রাটের নিকট এ সংবাদ পৌঁছালে তিনি সেখান থেকে কাঠ মিস্ত্রি সহ পাইক পেয়াদা প্রেরণ করে ফরমান জারী করেন যে, রুনী বেগমের মাজার এলাকার নাম রুণী বেগমের নাম অনুসারে রুণী গাঁও হবে। তখন থেকে সে গ্রামের নাম রুনী গাঁও। আরো জনশ্রুতি আছে যে, শের শাহের আমলে দিল্লী হতে আরকান পর্যন্ত যাতায়াতের পথ ধরে তৎকালীন একমাত্র বাহন একটি ঘোড়ার এক দিনের অতিক্রম দুরত্বে একটি করে সরাই খানা নির্মাণ করা হয়েছিল । এ মাজার স্থলে ছিল তারই একটি সরাই খানা। এখানে তৎকালীন মোঘল পরিবারে রুণী বেগম নামে এক মহিলা অবস্থান করেন এবং অসুস্থ হয়ে সেখানেই মারা যান। সে থেকেই এ গ্রামের নাম রুণী গাঁও এবং রুণী বেগমের মাজারই বর্তমান গাজীর দরগাহ মাজার। মোঘল দের পতনের পর এটি সংরক্ষণের বিষয়ে কেউ পদক্ষেপ নেয় নি। প্রতি বছর ১০ মহরম মাজার প্রাঙ্গনে মেলা, জারী গান, বাউল সঙ্গীত ও উরশ হয়ে থাকে। এলাকাবাসী প্রতি বছরে এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে।
নারায়ন খোলা বেড় শিমুল গাছঃ গাছটির ব্যাস ৪২ গজ । গাছটি কয়েকশত বছরের পুরাতন বলে এলাকাবাসীর মুখে শোনা যায়। একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করা হলে গাছটির কান্ডের পশ্চিম পার্শ্বে হাতি সদৃশ্য, পূর্ব পার্শ্বে বাঘ ও সিংহের সদৃশ্য, দক্ষিণ পার্শ্বে কুমিরের সদৃশ্য এবং উত্তর পার্শ্বে নৌকার বৈঠা ও সাপের সদৃশ্য বলে মনে হয়।
গাছটির যে কোন একটি শাখা ধরে নাড়া দেয়া হলে সমগ্র গাছ নড়ে উঠে। গাছটির আনুমানিক উচ্চতা ৮০-১০০ ফুট এবং গাছটি প্রায় ১.০০ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত। ইতিমধ্যে গাছটিকে নিয়ে এলাবাসীর গভীর কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পুরাতন এ গাছটি দেখার জন্য অসংখ্য লোকজন জড়ো হয়। শেরপুর জেলা পরিষদ ও নকলা উপজেলা পরিষদ গাছটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে উক্ত বেড় শিমুল গাছের প্রাঙ্গনে মেলা বসে।
বিবির দরগা :
গাছটির যে কোন একটি শাখা ধরে নাড়া দেয়া হলে সমগ্র গাছ নড়ে উঠে। গাছটির আনুমানিক উচ্চতা ৮০-১০০ ফুট এবং গাছটি প্রায় ১.০০ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত। ইতিমধ্যে গাছটিকে নিয়ে এলাবাসীর গভীর কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পুরাতন এ গাছটি দেখার জন্য অসংখ্য লোকজন জড়ো হয়। শেরপুর জেলা পরিষদ ও নকলা উপজেলা পরিষদ গাছটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে উক্ত বেড় শিমুল গাছের প্রাঙ্গনে মেলা বসে।
বিবির দরগা :
বিনোদন উৎসব সংক্রান্ত তথ্যাদি :
চড়ক মেলা : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চড়ক পূজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর ৩০ চৈত্র মাসে চড়ক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। লোক মুখে শোনা যায় বহু আগে থেকেই এই মেলার গনপদ্দী পোদ্দার বাড়ীর নিকটে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উক্ত চড়ক মেলা উপলক্ষ্যে লোকজন রঙ বেরঙ্গের নানা রকম দ্রব্য সামগ্রীর পসড়া সাজিয়ে বসে। চড়ক গাছের তৈরী নাগর দোলা এই মেলার অন্যমত প্রধান আকর্ষণ। উক্ত মেলা মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অায়োজন হলেও মুসলমানসহ সব সম্প্রদায়ের লোকজন উক্ত মেলায় অংশ গ্রহণ করে থাকে। উক্ত মেলা উপলক্ষ্যে সমগ্র এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
স্বাধীনতা দিবস মেলা : বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিবস ২৬ মার্চের দিন গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিন ব্যাপী স্বাধীনতা দিবস মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। লোক মুখে শোনা যায় অনেক অগে থেকেই উক্ত মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উক্ত মেলা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে লাঠি বাড়ি খেলা, সাইকেল দৌড়, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্য। উক্ত মেলা উপলক্ষ্যে ব্যপক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)