উপরে যান

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১১

এক নজরে উপজেলা যুব উন্নয়ন বিভাগের কার্যক্রম


মকবুল হোসেন,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা

অফিস প্রধানের নাম : মকবুল হোসেন
            উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, নকলা, শেরপুর।
           নিজ জেলাঃ ময়মনসিংহ। 
                মোবাইল-০১৭১২-১৮৯৩৮১
                নকলাতে যোগদানের তারিখ : ২০-০২-২০০০

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১৫ অনুচ্ছেদে অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের উন্নতি সাধন করা রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব। যুবসমাজ সব সময়ই যে কোন দেশের সর্বাপেক্ষা বলিষ্ঠ, আত্মপ্রত্যয়ী, সৃজনশীল ও উৎপাদনক্ষম চালিকাশক্তি। জাতীয় অগ্রগতির লক্ষ্যে যুবদের জন্য উপযুক্ত উৎপাদনমুখী বাস্তব শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান, নেতৃত্বসহ সম্ভাবনাময় সকল গুণাবলীর বিকাশ সাধনের অনুকূলে পরিবেশ সৃষ্টি করা ; সুসংগঠিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার নিমিত্তে যুবদের মধ্যে গঠনমূলক মানসিকতা তৈরিসহ জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কুতিতে উজ্জীবিত করে সুনাগরিকের দায়িত্ববোধ সম্পন্ন সুশৃংঙ্খল, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মীবাহিনী গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ১৮-৩৫ বছরের বয়সসীমার মধ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশী নাগরিক যুব বলে গণ্য হবে।
 উদ্দেশ্যাবলীঃ  
১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ও নীতি-আদর্শের প্রতি যুবদের মাঝে সচেতনতা ও শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি এবং একই সাথে যুবদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
২। যুবদের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত বাস্তবমূখী শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৩। স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের প্রতি যুবদেরকে বিশেষ করে বেকার যুবদেরকে উৎসাহিত করা ও তাদের অন্তর্নিহিত সকল সম্ভাবনাময় গুণাবলী বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৪। জাতীয় উন্নয়নের মূলধারার সাথে অংশীদার হিসেবে সম্পৃক্ত হওয়ার মত যুবদেরকে পড়ে তোলা।
৫। গৌরবময় সকল ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতি সচেতনতাসৃষ্টিসহ যুবদেরকে নৈতিক অবক্ষয় ও বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করে নৈতিক ও সমাজ গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করা এবং অপরাধমূলক সকল কার্যক্রম থেকে যুবদেরকে নিবৃত্ত রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৬। স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমে উৎসাহিত হওয়ার জন্য যুবদেরকে সহায়তা করা এবং জাতীয় সেবামূলক বিভিন্ন কাজে যেমন : ঠিকাদান, বৃক্ষরোপণ, এইডস ও মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং পুনর্বাসন ইত্যাদি কাজে যুবদের সম্পৃক্ত করা।
৭। সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ সুস্থ বিনোদনমূলক সকল কার্যক্রমে যুবদের অবদান রাখার ও অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং এ ব্যাপারে সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা।
৮। তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এর সাথে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার সকল সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা প্রদান করা।
৯। যুব বিষয়ক তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে যুব সংশি্নষ্ট তথ্যাদির প্রাপ্তির অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা।
১০। গ্রামীন পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে যুবদের যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে যথ্যেপযুক্ত উৎপদানমূখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
১১। জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডকে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে উন্নয়নের সকল স্তরে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবক ও যুব মহিলাদের সমহারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
১২। যুবদের স্বাস্থ্য, মানবাধিকারসহ প্রতিবন্ধী যুবদের সামাজিক অধিকার সহায়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণের লক্ষ্যে যুবদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ সাধনে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা।

জনবল সংক্রান্ত তথ্য :
ক্রমিন নং
পদের বিবরণ
বরাদ্দ পদ
বরতমান করমরত
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মর্র্তা
ক্রেডিট সুপারভাইজার
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
ক্যাশিয়ার
এমএলএসএস
কার্যক্রম শুরু-১৯৯৭ সাল থেকে

প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা
ক. যুবক-১৯৬৫ জন
খ. যুব মহিলা ১৬৬৩ জন
মোট-৩৬২৮ জন            
যুব ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা-
ক. যুবক-৪১৪ জন
খ. যুব মহিলা ১১৬ জন
মোট-৫৩০ জন
স্বাবলম্বীর সংখ্যা
ক. যুবক- ১৪৭৪ জন
খ. যুব মহিলা ৯৯৬ জন
মোট-২৪৭৪ জন
যু্ব ঋণ বিতরণের পরিমাণ-৭৯,০০,০০০/-(উনআশি লক্ষ টাকা)
তালিকাভুক্ত সংগঠনের সংখ্যা-৪২ টি

যে সকল ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় :
ক. গবাদি পশু হাঁস মুরগী পালন।
খ. গরু মোটা তাজা করণ।
গ, ছাগল-লালন-পালন।
ঘ. পোষাক তৈরী।
ঙ. নার্সারী।